হিটলারের জানা-অজানা কিছু কথা
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
বিশ্ব ইতিহাসে নিন্দিত এক নাম এডল হিটলার। তারপরও এই মানুষটিকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। আজ প্রতিক্ষণের পাঠকদের জন্য থাকছে হিটলারের সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য।
জার্মানীর স্বৈরশাসক হলেও হিটলার কিন্তু সেখানে জন্মগ্রহন করেননি। তার জন্ম হয় অস্ট্রিয়ায় ১৮৮৯ সালে।
হিটলারের মা যখন হিটলারকে গর্ভধারন করেন তখন তিনি অ্যবরোশন (গর্ভপাত) করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ডাক্তার তাকে বলে কয়ে অ্যবরোশন না করতে রাজি করায়। হিটলার ছোটবেলায় অ্যডি নামে পরিচিত ছিল।
কৈশোরে হিটলার একজন চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন। তিনি দুইবার ভিয়েনা আর্ট একাডেমিতে চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু একবারও তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি।
হিটলারের মায়ের মৃত্যু হয় স্তন ক্যান্সারে ১৯০৮ সালে। মায়ের মৃত্যুর পর হিটলার চারবছর ভিয়েনার রাস্তায় নিজের আঁকা পোস্টকার্ড বিক্রি করে জীবনযাপন করতেন।
এটা এখনো নিশ্চিত নয় যে কিভাবে হিটলার ইহুদীবিরোধী মতবাদী হয়ে যান তবে অনেকে মনে করেন এটা তার দাদার থেকে (তার দাদা কি ইহুদী ছিল?) আবার অনেকে মনে করেন হিটলারের মা এর যখন মৃত্যু হয় তখন তিনি এক ইহুদী ডাক্তারের অধীনে ছিলেন যে হিটলারের মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আবার অনেকের ধারণা ভিয়েনায় হিটলারের জীবনকালে তিনি এই মতবাদ বিশ্বাসী হন।
হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীর সার্ভিস এড়াতে মিউনিখ চলে যান সেখানে তিনি জার্মান সেনা বাহিনীতে যোগ দেন আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চার বছর অনেক কষ্ট করে কাটিয়ে দেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য তাকে দুটি লৌহ ক্রুশ দেয়া হয়।
হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দুবার মারাত্মকভাবে আহত হন। প্রথমবার ১৯১৬ সালে তিনিএকটা গ্রেনেড অ্যটাকে পায়ে আঘাত পান আর দ্বিতীয়বার তিনি গ্যাস আক্রমনে সাময়িকভাবে অন্ধ হয়ে যান। তিনি যখন এর জন্য হাসপাতালে ছিলেন তখন জার্মানী আত্মসমপর্ন করে। হিটলার এতে প্রচন্ড ক্ষীপ্ত হয়।
পরবর্তীতে হিটলার আবার মিউনিখে চলে আসেন আর একটা ইহুদী বিরোধী পার্টির ৫৫তম সদস্য হন।
পরবর্তীতে তিনি এই পার্টির প্রধান হন আর এর নাম বদলে ফেলেন যাকে আমরা নাৎসী পার্টি নামে চিনি। এর প্রতিক ছিল রক্তলাল ব্যকগ্রাউন্ডের উপর স্বস্তিকা চিহ্ন।
প্রতিক্ষন/এডি/এনজে